১। গাছ : কাণ্ড শক্ত, সবল ও তেজস্বী, কিন্তু সংখ্যায় কম ও দ্রুত বর্ধনশীল। পাতার সংযোগস্থল গাঢ় বেগুনী লাল, পাতা গাঢ় সবুজ, প্রাথমিক পত্র অগভীর শিরাযুক্ত, বড় ও ডিম্বাকার।
২। আলু : ডিম্বাকার থেকে লম্বাকৃতির, মাঝারী থেকে বড় আকৃতির, মসৃণ ত্বক, ত্বক ও শাঁস ফ্যাকাসে হলুদ, অগভীর চোখ।
৩। শুষ্ক পর্দাথ : ১৮.৮ ± ১%।
৪। অঙ্কুর : ডিম্বাকার পরে সরু মোটাকৃতির নীলাভ বেগুনী রং এবং ঘন লোমযুক্ত। প্রান্তীয় কুঁড়ি সরু হয়।
৫। অঙ্কুরোদগম : সাধারণ তাপমাত্রায় ৬৫-৭০ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
৬। বিশেষ বৈশিষ্ট্য : ভাইরাস ‘X’ জনিত মোজাইক প্রতিরোধক্ষম ও প্রক্রিয়াজাতকরণের উপযোগী।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময়
: উত্তরাঞ্চলে মধ্যে- কার্তিক (নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ), দক্ষিণাঞ্চলে অগ্রহায়ণ ১ম সপ্তাহ থেকে ২য় সপ্তাহ (নভেম্বর মাসের মধ্য থেকে শেষ সপ্তাহ)।
২ । মাড়াইয়ের সময়
: বপনের পর থেকে ৯০-৯৫ দিনের মধ্যে আলু উঠাতে হয়।
৩ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: গোবর ৮-১০ টন, ইউরিয়া ২৫০-৩৫০ কেজি, টিএসপি ১২০-১৫০ কেজি, এমওপি ২৫০-৩৫০ কেজি, জিপসাম ১০০-১২০ কেজি, জিংক সালফেট ৮-১০ কেজি, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ৮০-১০০ কেজি (অম্লীয় বেলে মাটির জন্য), বোরিক এসিড ৮-১০ কেজি (বেলে মাটির জন্য)। গোবর, অর্ধেক ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে) রোপণের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয় বার মাটি তোলার সময় প্রয়োগ করতে হবে। অম্লীয় বেলে মাটির জন্য ৮০-১০০ কেজি/হেক্টর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং বেলে মাটির জন্য বোরন ৮-১০ কেজি/হেক্টর প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।